সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে ১০ জেলে অপহরণ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  পূর্ব সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে ১০ জেলেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে কোস্টগার্ড, বনবিভাগ ও জেলেদের মহাজন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, রবিবার গীভররাতে শরণখোলা রেঞ্জের হরিণটানা ও কলামুলা এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি দস্যু বাহিনী ওই জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত প্রত্যেক জেলের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করে।

অপহৃত জেলেদের মধ্যে ছয় জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর ছেলে আলী হোসেন মুন্সী (মহাজন ডালিম মেম্বর), উত্তর রাজাপুর গ্রামের ছোমেদ গাজীর ছেলে লাল মিয়া গাজী (মহাজন জাকির মেম্বর), পানিরঘাট এলাকার ইছাহাক মোল্লার ছেলে জিয়ারুল মোল্লা ( মহাজন খলিলুর রহমান), সোনাতলার নান্না মাতুব্বরের জেলে সহিদুল ইসলাম, খুড়িয়াখালীর জালাল মোল্লার জেলে দেলোয়ার হোসেন ও তাফালবাড়ির মোশারেফ হোসেনের জেলে মাসুদ মিয়া।

ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে মহাজনরা জানান, রবিবার রাতে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের হরিনটানা ও কলামুলা এলাকার নদীতে মাঝ ধরছিলেন জেলেরা। এসময় অজ্ঞাত বাহিনীর ১০-১২ জন সশস্ত্র দস্যু জেলেবহরে হামলা চালায় এবং নৌকায় উঠে তাদেরকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে দস্যুরা ১০নৌকা থেকে ১০জন জেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এবং মহাজনরা যোগাযোগের জন্য দস্যুরা তাদের (০১৭৬০২১৩৬১৪) এই মোবাইল নম্বরটি নৌকায় থাকা অন্য জেলেদের কাছে দিয়ে যায়।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, গভীর সাগরে এবছর দস্যুদের উৎপাত কম। বড় বড় দস্যু বাহিনী ইতোমধ্যে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পন করায় বঙ্গোপসাগরে অনেকটা নিশ্চিন্তে মাছ ধরতে পারছেন জেলেরা। তবে, ছোটখাটো দু-একটি বাহিনী সুন্দরবন এলাকায় জেলেদের ওপর হামলা করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই মৎস্যজীবী নেতা।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ৪-৫ দিন আগে শরণখোলা স্টেশন থেকে এক সপ্তাহ’র জন্য পাস (অনুমোতি) নিয়ে ওই জেলেরা বনে মাছ ধরতে যান। হরিণটানা এলাকায় থেকে তাদেরকে অপহরণের খবর পেয়ে কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মংলা) অপারেশন কমান্ডার মো. ফরিদুজ্জামান জানান, জেলে অপহরণের খবর পেয়ে সোমবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর